তামিম রায়হান: কাতার থেকে।
পাকিস্তানে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের গ্রহণযোগ্য যৌক্তিকতা এখনো আমার বুঝে আসেনি।মাত্র সাড়ে চারশ দিন ধরে ক্ষমতায় থাকা ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে দুর্নীতিগ্রস্ত অনেক দষ্টচক্র ক্ষেপে আছে, এখন একজন মাওলানার ডাকে তারাও বিরোধীদের কাতারে শামিল হয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে চাইছেন, এতে সন্দেহ নেই। বিশেষ করে মাওলানার আগের বক্তব্য এবং এখনকার অবস্থান মিলিয়ে দেখলে তার এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ শক্তিশালী হয়।
নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে টেনে নামাতে রাজপথে নেমে এসেছিল মিসরের মানুষ, আজ তাদের বোবাকান্না শোনার মতো কেউ নাই পাশে। পাকিন্তানের মানুষ যদি ইমরান খানকে দেশ চালানোর পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে আন্দোলনের আবেগে গা ভাসিয়ে দেয়, তবে এর পরিণতিতে আবারও হয়তো সামরিক শক্তি কেড়ে নেবে ক্ষমতার মসনদ, আন্দোলনের নেতাদের কাউকে তখন খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মিসরে মুরসিবিরোধী আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছিল সৌদিআরব-আরব আমিরাত, পাকিস্তানের চলমান আন্দোলনে কারা পেছন থেকে এই সমর্থন ও সহযোগিতা করছে, তা অদূর ভবিষ্যতে স্পষ্ট হবে নিশ্চয়ই।
0 মন্তব্য