যুবায়ের আহমাদ : ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে সেদিন প্রকাশিত হলো বিজ্ঞপ্তি। বিজ্ঞপ্তি দেখে তো চোখ কপালে। ইসলামিক স্টাডিজে মাত্র ১টি পদ। আরবি, তাফসির, হাদিসে কোনো পদ নেই। ইসলমী বিষয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যেতে আগ্রহী লাখো প্রার্থীর জন্য মাত্র ১টি পদ। লোক সঙ্গীত ও যন্ত্র সঙ্গীতের পদও ১টি করে আর ইসলামিক স্টাডিজের পদও ১টি। হাসবেন? প্রাণ খুলে হাসুন!
দেশটির ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। মুসলসানদের টাকায় বিসিএস ক্যাডারদের বেতন হয়। সেই জায়গাটা ইসলামী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা লোকদের জন্য এত সংকুচিত! হবেই তো! গত ১০ বছরে ৬০০ স্কুল-কলেজ সরকারি করা হয়েছে, একটি মাদ্রাসাও সরকারি করা হয়নি। কলেজগুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ এখন অনাবশ্যিক। ধারাবাহিকভাবে ইংরেজি, বাংলা এমনকি লোকসঙ্গীত ও যন্ত্র সঙ্গীতের পদ বাড়ে, কিন্তু হতভাগা ইসলামিক স্টাডিজের পদ কেবলই কমে। এই হলো আমাদের মদিনার সনদের অবস্থা।
পদ তৈরি করতে হয়। মাদকের সর্বগ্রাসী অবস্থার এ সময়ে ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি এদেশের মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাইমারিতে উপবৃত্তি, মিডডে মিল, স্কুল ফিডিং আছে; এগুলোর একটাও নেই মাদ্রাসায়। এর পরও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে। কিন্তু ইসলামী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে থেকে পাস করে আসা শিক্ষার্থীদের কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে কেন? হাফেজ আলেম হওয়া কি অপরাধ? মাহাথির মুহাম্মাদ মালয়েশিয়াকে উন্নত করেছে হাফেজদের ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে অগ্রাধিকার দিয়ে। মালয়েশিয়াতে হাফেজ হওয়া সরকারি চাকরির জন্য বিশেষ যোগ্যতা। আর আমাদের দেশে হাফেজ-আলেম হওয়া এক অঘোষিত অযোগ্যতা। এজন্যই তো দুর্নীতি কমে না। যে মানুষগুলো বিসিএস ক্যাডার হলে দুর্নীতি অনেকই কম করত, তাদের কৌশলে বাদ দিচ্ছি। ফলে বালিশ উঠাতে, বই কিনতে এত টাকা লাগে। হলমার্ক ক্যালেঙ্কারি হয়। আফসোস! সোনার দেশ গড়তে হলো কোরআনের আলোয় আলোকিত সোনার মানুষগুলোকে ভালো পদে বসাতে হবে।
পদ তৈরি করতে হয়। আজ যদি বিসিএসে ইংরেজির পদগুলো সংকুচিত হতো, ইংরেজি বিভাগের ভাইয়েরা কি তাতে কষ্ট পেতেন না? আনুপাতিক হারে মাদ্রাসাগুলো সরকারি হলে, কলেজগুলোতে সংকুচিত না হলে হয়তো পদ থাকত ৫০টি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য কোটা চালু করা হয়। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অযথা 'পিছিয়ে পড়া' হিসেবে বিবেচনা করলেও তাদের জন্য হয় উল্টো। আমরা কোটা চাই না, ন্যায্য পাওনা দাও! আর যদি এদের পিছিয়ে পড়াই বলো, তাহলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরিতে কোটা চালু করো!
দেশটির ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। মুসলসানদের টাকায় বিসিএস ক্যাডারদের বেতন হয়। সেই জায়গাটা ইসলামী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা লোকদের জন্য এত সংকুচিত! হবেই তো! গত ১০ বছরে ৬০০ স্কুল-কলেজ সরকারি করা হয়েছে, একটি মাদ্রাসাও সরকারি করা হয়নি। কলেজগুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ এখন অনাবশ্যিক। ধারাবাহিকভাবে ইংরেজি, বাংলা এমনকি লোকসঙ্গীত ও যন্ত্র সঙ্গীতের পদ বাড়ে, কিন্তু হতভাগা ইসলামিক স্টাডিজের পদ কেবলই কমে। এই হলো আমাদের মদিনার সনদের অবস্থা।
পদ তৈরি করতে হয়। মাদকের সর্বগ্রাসী অবস্থার এ সময়ে ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি এদেশের মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাইমারিতে উপবৃত্তি, মিডডে মিল, স্কুল ফিডিং আছে; এগুলোর একটাও নেই মাদ্রাসায়। এর পরও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে। কিন্তু ইসলামী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে থেকে পাস করে আসা শিক্ষার্থীদের কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে কেন? হাফেজ আলেম হওয়া কি অপরাধ? মাহাথির মুহাম্মাদ মালয়েশিয়াকে উন্নত করেছে হাফেজদের ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে অগ্রাধিকার দিয়ে। মালয়েশিয়াতে হাফেজ হওয়া সরকারি চাকরির জন্য বিশেষ যোগ্যতা। আর আমাদের দেশে হাফেজ-আলেম হওয়া এক অঘোষিত অযোগ্যতা। এজন্যই তো দুর্নীতি কমে না। যে মানুষগুলো বিসিএস ক্যাডার হলে দুর্নীতি অনেকই কম করত, তাদের কৌশলে বাদ দিচ্ছি। ফলে বালিশ উঠাতে, বই কিনতে এত টাকা লাগে। হলমার্ক ক্যালেঙ্কারি হয়। আফসোস! সোনার দেশ গড়তে হলো কোরআনের আলোয় আলোকিত সোনার মানুষগুলোকে ভালো পদে বসাতে হবে।
পদ তৈরি করতে হয়। আজ যদি বিসিএসে ইংরেজির পদগুলো সংকুচিত হতো, ইংরেজি বিভাগের ভাইয়েরা কি তাতে কষ্ট পেতেন না? আনুপাতিক হারে মাদ্রাসাগুলো সরকারি হলে, কলেজগুলোতে সংকুচিত না হলে হয়তো পদ থাকত ৫০টি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য কোটা চালু করা হয়। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অযথা 'পিছিয়ে পড়া' হিসেবে বিবেচনা করলেও তাদের জন্য হয় উল্টো। আমরা কোটা চাই না, ন্যায্য পাওনা দাও! আর যদি এদের পিছিয়ে পড়াই বলো, তাহলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরিতে কোটা চালু করো!
0 মন্তব্য