![]() |
না ফেরার দেশে আমাদের মোবারক স্যার |
তামাদ্দুন ডেস্ক: মাওলার ইচ্ছার উপর কারো হাত নেই। ২০১১ সালে দাওরায়ে হাদীস শেষে সর্বপ্রথম যার অধিনে খেদমত করার সুযোগ পেয়েছিলাম, তিনি আমাদের মোবারক স্যার। এই বয়সেও স্যার রাজধানির বড় বড় মসজিদে তারাবী পড়াতেন। আমার জানামতে তারাবী ঠিক করার জন্য তিনি ছোট ছোট ছেলেদের সাথে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতেন স্বাচ্ছন্দে। এমনকি জাপানেও তিনি তারাবীর ইমামতি করেছেন।
কোরআনের প্রতি তাঁর মুহাব্বত ছিলো প্রবল। অধিনস্থ শিক্ষদের তিনি সবসময় বলতেন, দায়িত্বের পাশাপাশি সময় সুযোগ করে আপনারা সবাই অবশ্যই নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করে নিবেন। স্যারের কথায় উৎসাহ পেতাম। আমল-আখলাকের বিষয়েও স্যারের তদারকি ছিলো উল্লেখযোগ্য।
আমাদের প্রিয় এই স্যার সাধারণ শিক্ষক থেকে খেদমত শুরু করে সর্বশেষ তানজীমুল উম্মাহ দক্ষিণখান শাখার প্রিন্সিপাল মনোনিত হন। পাশাপাশি তিনি ফাউন্ডেশনের এসিস্টেন্ট ডিরেক্টরও ছিলেন। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। জীবনের এই পূর্ণ সময়টা তিনি তানযীমে কোরআনের খেদমতেই কাটিয়ে দিলেন।
প্রায় অনেকদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন। লিবার ক্যান্সার জনিত রোগে ভুগছিলেন। আজ ভোর ৫.৩০ মিনিটে দক্ষিণখানের অস্থায়ী নিবাসে তিনি শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করেন। সবাইকে ছেড়ে তিনি আজ না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৫০ বছর।
আজ সকাল দশটায় উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর জামে মসজিদে তাঁর জানাযার ১ম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ২য় জামাত অনুষ্ঠিত তানযীমুল উম্মাহ দক্ষিণখান শাখায়। ৩য় জামাত অনুষ্ঠিত হয় মরহুমের জন্মভূমি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে। জানাযা শেষে তাঁকে নিজবাড়ীর পাশেই কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক। তিনজনই কন্যা সন্তান। যাদের দুজনই হাফেজা (অবিবাহিতা)। ছোট্রজনের বয়স চার বছর। তাকেও মাওলা কোরআনের হাফেজা, আলেমা ও দায়ী হিসেবে কবুল করে নিন। স্যারের সকল ভুলত্রুট ক্ষমা করে জান্নাতের সুউচ্চ আসনে সমাসীন করুন। শোকগ্রস্থ পরিবারকে ধৈর্যসহ আগামীর পথ চলার তাওফীক দিন। অভিভাবকহীন এই পরিবারকে রহমের চাদরে ঢেকে রাখুন।
মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ।
সাবেক শিক্ষক: তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা। উত্তরা ,ঢাকা।
---------------------
০৭/০৩/২০২০।
0 মন্তব্য