বাংলাদেশের কওমী আলেমদের সবচেয়ে বড় গর্বের জায়গা হলো বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ। আজ সেই প্রতিষ্ঠানে সিন্ডিকেট কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি অনেক মানুষের বিতৃষ্ণা বাড়িয়ে তুলছেন। এমনসব লোকদের হাতে দায়িত্ব চলে গেছে যারা নিজ প্রতিষ্ঠানেই চরমভাবে বিতর্কিত।
বর্তমান মহাসচিবের ব্যাপারে ফেসবুকে এমন সব ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে যা দেখে তরুন আলেমদের অন্তরে ঘৃণার উদ্রেক করছে। বেফাকের মহাসচিবের পদ থেকে উনি সসস্মানে সরে গেলে ভালো হয়। এবং সেখানে মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেবকে পরবর্তী কাউন্সিল পর্যন্ত আপাতত: মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। তরুন আলেমদের দায়িত্ব দিতে হবে এসব জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালানোর। অসুস্থতার জন্য যিনি ফরিদাবাদ থেকে বেফাকের গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ও অনেক সময় আসতে পারেন না, তিনিই বেফাকের মহাসচিব, তিনিই আবার কো চেয়ারম্যান, তিনিই আবার সহসভাপতি। সব পদ একজনকে দেওয়াটা অন্যদের সুযোগ বন্ধ করার নামান্তর। এসব পদে গ্রহনযোগ্য, পরিশ্রমী, মেধাবী, কর্মক্ষম আলেমদের দায়িত্ব দেওয়া দরকার।
করোনাকালীন দুর্যোগ মোকাবেলায় কওমী আলেমদের দিক নির্দেশনা দিতে বেফাকের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ মাদ্রাসাগুলো খোলার ব্যাপারেও তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। শিক্ষকদেরকে অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। কওমী অঙ্গনের বড় বড় পদগুলোতে বয়োবৃদ্ধ আলেমদের দায়িত্ব দেওয়ায় তাদের সাহবজাদারা সুযোগ পেয়ে গেছে। তারা ইচ্ছেমতো গোটা কওমী জগতকে নিজের পৈতৃক সম্পদ মনে করছেন। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
বেফাক ছিল এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে সব কওমী আলেমগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে বসে সিদ্ধান্ত নিতেন। এখন সেখানে সিন্ডিকেট বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এসব সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে তরুনদের সোচ্চার হতে হবে। কথা বলতে হবে। বলয় ভেঙ্গে দেশের বড় বড় কওমী মাদ্রাসার মুহতামিমগণ বসে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
লেখক: সম্পাদক-নুরবিডি ডটকম
সহ-সভাপতি: জাতীয় লেখক পরিষদ
0 মন্তব্য