
তিনি লিখেন,“বেফাকের
শীর্ষস্থানীয় দায়িত্বশীলদের কাজ ও কথাবার্তায় অপেশাদারিত্ব
ফুটে উঠার যে প্রমাণ সোশ্যাল
মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে - এরপর এই অখণ্ড নিরবতার
কী মানে আছে? দ্রুততার
সাথেই তো সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করা উচিত।
উচিত
ছিলো সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ নিজেরাই প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে দায়িত্ব অন্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া অথবা শুরার অন্যান্য সদস্যরা মিটিং ডেকে করণীয় ঠিক করা। কিন্তু কিছুই হচ্ছেনা।
বেফাকের
সম্মানিত মহাসচিব যেভাবে স্বেচ্ছাচারীতা করেছেন তেমনি অন্যান্য সদস্যরাও তাকে গাইড করার ক্ষেত্রে, তদারকি করার ক্ষেত্রে, ভুল ধরিয়ে সংশোধন করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন। অবশ্য
হয়ত পরিবেশ এমনভাবে ছিলো ভুল ধরিয়ে দেওয়ার মত সাহসও কেউ
করতে পারেননি।
কিন্তু
এখন এই সময়ে কাজ
কি শুধুই নিরবতা? কেনো
এখনও জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছেনা? পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের অযোগ্য ভিসিদের মত কি সরকারি
প্রটেকশন নিয়ে চলতে হবে কওমি শিক্ষাবোর্ডের নেতাদের? এটাও দেখতে হবে আমাদেরকে?
আমরা
এখনো সম্মানিত মহাসচিব সাহেবকে সম্মানের সাথেই দেখতে চাই। কিন্তু
এজন্য তার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত লাগবে। তিনি ব্যার্থ হলে বেফাকের শুরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করে
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবে। কিন্তু কিছুই
তো দেখা যাচ্ছেনা। ফলশ্রুতিতে
মাঝখান থেকে তিক্ত বাক্য, বোর্ডের প্রতি অনাস্থা, মহাসচিবকে গালাগালি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অথচ
বেফাকের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ফোরাম নিরবে দেখে যাচ্ছে, কেনো?
কওমি
মাদ্রাসা কোনো খেল তামাশা না, বেফাকও তামাশা না, তাকে আমাদের মত ফেসবুকারদের কাছে
ছেড়ে দেওয়ার বিষয় না, তা অনেক কষ্ট
ও শ্রম এবং জীবন সেক্রিফাইজ করা ইনস্টিটিউট। লক্ষ
লক্ষ আলেমদের অজানা অশ্রু ও ঘাম মিশে
আছে এখানে।
অনুরোধ
করব যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তাদেরকে সম্মানের সাথেই অব্যাহতি দিন। দ্রুত
পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনুন। বেফাকের
সাথে আলেমদের ইজ্জত সম্মান জড়িত। এভাবে
ঘোলাটে করার দরকার নেই।
সমস্যা
হতেই পারে, কিন্তু এ উপলক্ষে সমাধানের
পথে না গিয়ে জমজমাট
খেলা উপভোগ করা তো আরও ভয়াবহ
ব্যাপার।”
-এএইচ
-এএইচ
0 মন্তব্য